অবসাদে নিলু 🔐
কিছু খুশি নিতান্তই সাময়িক , যার অনুভূতি সারা জীবন থেকে যায় । তবে যার মাধ্যম হতে অনুভূতিটা
এসেছে সে সারাজীবন নেই কেন?
গল্পটা একটু ভিন্ন । গল্পের শুরুটা ঠিক কবে থেকে, সঠিক দিনক্ষণ মনে নেই। তবে যতটুকু মনে পড়ে,
গ্রীষ্মের বর্বরতা যখন আমার উপর থেকে বয়ে যাচ্ছিল ।তখন তুমি এসে আমার মরুর ধড়ে প্রাণ সঞ্চার
করেছ । জানিনা তোমার মধ্যে কি মায়া আছে। সেই এক দেখাতেই আটকে গেছে মন তোমার পানে।
যা হোক এর পর থেকে প্রতি বিকেলে দেখা আর শেষ বিকেলে বিদায় । ব্যাপারটা কিন্তু মন্দ ছিল না
আমার কাছে। আমার এক এক বিকেল সজ্জিত করতে এক এক মায়া দিয়ে। এক বিকেলে তো আমার
সব কিছু কেমন স্থির করে দিয়েছিল । বিষয়টা হয়তো এভাবে বললে বুঝার কথা না সবার। সেদিন
বাইরের আবহাওয়াটা বেশ ঈর্ষণীয় ছিল। বিকেলটাতে বেজাই মন খারাপ । চুপ করে বসে সোনালি
আবেগ বাতাসে ওড়াচ্ছি । বিকেলটা প্রায় শেষ এর পথে। কেমন মনে হতে লাগল আজ আর হবে না
নিজের বিকেলকে রাঙ্গানো। গোধূলি এসে গেছে, আকাশ আর মাটিরা রঙ্গটার মধ্যে তার বড় একটা
প্রভাব পড়েছে। হালকা আকাশ ঝিমিয়ে বৃষ্টিও নামছে। সবাই যখন দৌড়ে মাথার উপর ছাউনি
খুজতে ব্যস্ত , ঠিক সেই মুহূর্তে দেখি পরনে নীল শাড়ি, বক্ষে ব্লাউজ , এড়ানো চুলে কে যেন আমার
দিকে এগিয়ে আসছে । লোক জনের কোলাহল আর ব্যস্ততা এক মুহূর্তেই কেমন যেন উধাও হয়ে গেল।
শুধু দেখছিলাম এক " বনিতা " আমার দিকে আসছিল। সব কিছুই থমকে গেছে আমার পৃথিবীতে ।
শুধু আমার দেহে এক পিণ্ড মাংসের অনুভূতি ছাড়া কিছুই কাজ করছিল না। আমি এক দৃষ্টিতে শুধু
তাকেই দেখছিলাম ।
গোধূলিতে সব প্রান্ত অস্তমিত হয় । তবু কোন এই সন্ধ্যা ভীষন অন্যরকম । কোন এক রাত তোমার স্বপ্নে
ভরা , পৃথিবীর কোনো শক্তিই ছিড়তে পারেনা , আমি গোধূলির, গোধূলি আমার চিরকাল ।
কিছুদিন পর এক সকাল আর সন্ধ্যা আমার জীবন থেকে অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দেয়। সে দিন
হয়ে ছিল কি? কারোর জানা নেই। সে দিন অন্য দিনের থেকে একটু আগেই চোখ জোড়া মিলন নেশা
কাটিয়ে উঠে। তারপর এক অপরিচিত নাম্বারের কলের উত্তর দি। সে কলে আমার কানে শুধু একটা
কথাই ধরা দিয়েছিল। নিলু তোমার শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে । শুনে আমার স্বাভাবিক মস্তিষ্ক পুরাই
হেমায়েতপুর হাসপাতালের রুগিদের মত ব্যবহার করছিল । অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে , তার সাথে
দেখা করার জন্য ঘর ত্যাগ করলাম। তবে এটা ছিল আমার ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ না চিনি তার ঠিকানা না
জানি তার নাম্বার। তাও এ দিকে , ওদিক তাকে খুজতে থাকি। তবে তার দেখা পায় না। ওহ একটা কথা
তো ভুলে গেছি ফোন আলাপে আরও একটা কথা শুনছিলাম শেষ বিকেলে নাকি তার ট্রেন যাত্রা আছে।
তবে এ কথা মনে পড়ার আগে সে শহর ছেড়ে চলে গেছে।
তখন এক বুক আক্ষেপ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিলাক্ষী এর সেই খানে এসে বিদীর্ণ মনে বসে থাকি আর
সোনালি আবেগে নিজেকে উজাড় করে দি।
সর্বপরি কঠিন ও তিক্ত বস্তু অপেক্ষার প্রহর চেয়ে থাকা, কিছু স্মৃতিপথ যেমন চাইলেও ভোলা যায়
না তেমন তোমার প্রতিক্ষার পথটাও অসীম,চাইলেও পথ ফিরে যেতে পারবো না,কাল গর্ভে হারিয়ে যাবার কৃষ্ণ বাদল এসে বিলীন করে দেয় । তবুও তোমার পাবার আকাংক্ষা সময়াতীতে হারাবো না।
নিলু যে শহরের বুকে বসন্তের প্রথম বাতাস বয়ে গেল , সে শহরে তুমি নেই ।
আজ তোমার শহরে বসন্তের বাতাসে ভেসে আসার পরো , তোমাকে আমার করে পেলাম না ।
শহরের গুঞ্জন বলে তুমি নাকি আজ অন্যের ??
গল্পটা একটু ভিন্ন । গল্পের শুরুটা ঠিক কবে থেকে, সঠিক দিনক্ষণ মনে নেই। তবে যতটুকু মনে পড়ে,
যা হোক এর পর থেকে প্রতি বিকেলে দেখা আর শেষ বিকেলে বিদায় । ব্যাপারটা কিন্তু মন্দ ছিল না
গোধূলিতে সব প্রান্ত অস্তমিত হয় । তবু কোন এই সন্ধ্যা ভীষন অন্যরকম । কোন এক রাত তোমার স্বপ্নে
কিছুদিন পর এক সকাল আর সন্ধ্যা আমার জীবন থেকে অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দেয়। সে দিন
তখন এক বুক আক্ষেপ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিলাক্ষী এর সেই খানে এসে বিদীর্ণ মনে বসে থাকি আর
সর্বপরি কঠিন ও তিক্ত বস্তু অপেক্ষার প্রহর চেয়ে থাকা, কিছু স্মৃতিপথ যেমন চাইলেও ভোলা যায়
নিলু যে শহরের বুকে বসন্তের প্রথম বাতাস বয়ে গেল , সে শহরে তুমি নেই ।
(56 🔐)

khub valo lagse.
ReplyDeletethank u vai . sathe thakben
Delete