প্রতীক্ষা (২) 🔐
দিগন্তের শেষ প্রান্তে ডুবে যাওয়া সূর্যের আলোর দিকে তাকিয়ে অচেতন মন কি যেন ভাবছে । সূর্যের
আলো যত অন্ধকারকে আপন করে নিচ্ছে , আমার হৃদয়ে একটা ভয় ততো চেপে বসছে । শেষ দেখা
কি হবে না । জানিনা নসিবে কি আছে । হয়তো ডুবে যাওয়া সূর্যের মৃদু আলোর নাই আমিও হারিয়ে
যাব কোন পড়ন্ত বেলায় ।
সেদিন হঠাৎ করেই নিজেকে হারাতে বসেছিলাম । চারপাশ কেমন আঁধার ছেয়ে গিয়েছিল । আশা
হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি । ঠিক তখনই , একফোঁটা আলোর ঝলকানি যেন আমার চোখে বাধা হয়ে
গেল । মনে হল জলন্ত শিখার থেকে বেরিয়ে আসা আগুনের ফুলকি চোখের উপর এসে পড়ল ।
যা আমাকে অস্থির করে তুলেছে ।
এ অস্থির হৃদয় কিছু বলতে চাই । মৃতপ্রায় শরীরে প্রাণের সঞ্চার করা , সে তুমি আজ আমার আরশীর
সামনে । আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি , এটা আমার ভ্রান্ত ধারণা । যেমনটি মরুর বুকে মরীচিকার সাথে
সাক্ষাৎ হয়েছিল । হাতে একটা চিমটি কাটতে বুঝতে পারলাম , না এটা কোন ভাবে মনের ভুল
হতেই পারে না । উঠে একটা গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ভালোভাবে তাকে দেখার চেষ্টায় আমি ।
শাড়ীটা ছিল নীল রঙের ছোঁয়ায় কবিতার অমিল ছন্দ। দু-চোখ দেখে মনে হচ্ছে সে আমাকে কোনো এক
মায়াতে ডুবিয়ে দেবে । কপালের ছিল কালো বৃত্ত টিপ । মেঘ বরণ কেশ । কেশগুলো ছিল বড্ড বেয়াড়া ।
মাটির ছুঁইছুঁই ভাব । চুলগুলো বাতাসে আলতোভাবে উঠছে । কৃষ্ণচুড়ার মাধুরীমাখা তোমার এলোমেলো
চুল । যে কথা না বললেই নয়। হৃদয়ে আগুন লাগানো তোমার চঞ্চু । যা দেখেই মন চেয়েছে গোধূলি
বেলায় সেই চঞ্চুর ছোঁয়া পেতে ।
আমি এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছি । কোন মতেই তার চোখ থেকে নিজের চোখ সরাতে পারছি
না ।
তোমার ওই দুটি চোখ বিধাতার লেখা কাব্য ।ওই দুচোখে অদ্ভুত এক নেশা আছে । অজানা এক নতুন
ভাষা ওই দুই চোখে লিপিবদ্ধ আছে । সে ভাষা বুঝতে গিয়ে হারিয়ে যাবে কয়েকশো প্রহর অনায়াসে ।
এ সময় আমার ইচ্ছে সাদা ভেলভেট'-এর চাদর মুড়িয়ে তোমার পাশে থাকবো ।
সর্বপরি কঠিন ও তিক্ত বস্তু অপেক্ষার প্রহর চেয়ে থাকা , কিছু স্মৃতিপথ যেমন চাইলেও ভোলা যায় না ।
তেমন তোমার প্রতিক্ষার পথটাও অসীম , চাইলেও পথ ফিরে যেতে পারবো না । যদি কাল গর্ভে হারিয়ে
যাবার কৃষ্ণ বাদল, এসে বিলীন করে দেয় । তবুও তোমার পাবার আকাংক্ষা সময়াতীতে হারাবো না ।
তবে সবাই এক সময় , এই সময় এর পথে হারিয়ে যাবে । আমিও ব্যতিক্রম নৈ । তবে থেকে যাবে
তোমার প্রতি আমার ভালবাসার কিছু অমীমাংসিত গল্প ।

তোমার লেখা খুবই জীবন্ত
ReplyDelete